নিশীথ শহরের কোনো এক সরু গলিতে বাস করতো রাকিব। পাশের ফ্ল্যাটে থাকতো লাবণ্য। রাকিব একজন গ্রাফিক ডিজাইনার আর লাবণ্য একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। রোজ সকালে তারা একই সময়ে বাসা থেকে বের হত, কিন্তু কখনও একে অপরের সাথে কথা বলার সাহস পেত না।
একদিন, লাবণ্য তার বাসার ছাদে বসে বই পড়ছিল। হঠাৎ তার বইয়ের একটি পাতা উড়ে চলে গেল এবং রাকিবের সামনে এসে পড়ল। রাকিব পাতা তুলে লাবণ্যকে দিলো। এভাবেই তাদের প্রথম কথা হয়।
"এই নিন, আপনার বইয়ের পাতা," রাকিব মৃদু হাসি দিয়ে বলল।
"ধন্যবাদ," লাবণ্য লজ্জায় মাথা নিচু করে উত্তর দিল।
এরপর থেকে তারা প্রায়ই ছাদে দেখা করত। একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে তারা ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগল। একদিন রাকিব লাবণ্যকে চায়ের দোকানে নিয়ে গেল। সেখানে তারা অনেক গল্প করল এবং একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পেল।
"লাবণ্য, তুমি জানো, আমি তোমার হাসি খুব পছন্দ করি," রাকিব হঠাৎ বলল।
লাবণ্য অবাক হয়ে বলল, "সত্যি? আমারও তোমার সাথে সময় কাটানো ভালো লাগে।"
দিনগুলি কেটে যায়, তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। রাকিব বুঝতে পারে যে লাবণ্যই তার জীবনের সেই বিশেষ মানুষ যাকে সে সারাজীবন ভালোবাসতে চায়। এক সন্ধ্যায়, রাকিব লাবণ্যকে তার প্রিয় রেস্টুরেন্টে ডিনারে নিয়ে যায়। সেখানে রাকিব লাবণ্যকে প্রপোজ করে।
"লাবণ্য, তুমি কি আমার জীবনের সঙ্গী হতে চাও?" রাকিব প্রশ্ন করল।
লাবণ্য কিছুক্ষণ নীরবে থেকে উত্তর দিল, "হ্যাঁ, রাকিব, আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং তোমার সঙ্গী হতে চাই।"
এইভাবেই তাদের প্রেমের গল্প নতুন দিগন্তে পৌঁছায়। তারা একে অপরের ভালোবাসায় বাঁধা পড়ে এবং সুখী জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে। তাদের ভালোবাসা প্রমাণ করে যে সত্যিকারের ভালোবাসা সবসময় পথ খুঁজে নেয় এবং জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
0 Comments